টেকনাফে আন্তর্জাতিক মৎস্য গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশ এর আয়োজনে ইউএসএআইডি এর ইকোফিশ-২ প্রকল্পের আওতায় মৎস্য সংরক্ষণ দলের সদস্যদের নিয়ে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, সাগরে নিরাপত্তা ও দায়িত্বশীল মৎস্য আহরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লেঙ্গুরবিলের- আদর্শ গ্রামের ত্রিশজন মৎস্যজীবি এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।

উক্ত প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গবেষণা সহকারী মো. সোহেল রানা। প্রশিক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ দলের সাংগঠনিক উন্নয়ন ও নেতৃত্ব বিকাশ, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি সাগরে মৎস্যজীবী দের নিরাপত্তা রক্ষায় সমুদ্র যাত্রার পূর্বে করণীয়, যাত্রার সময় করণীয় ও সমুদ্রে অবস্থানকালীন সময়ে পালনীয় বিষয়েও সম্যক ধারণা দেওয়া হয়।

এছাড়া জলবায়ু সহিষ্ণূ জীবিকায়ন ও সামাজিক উন্নয়ন, জীবিকায়নে মৎস্য আহরণ এবং মৎস্যজীবীদের জীবিকায়নে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, জীবিকার বিকল্প উৎস চিহ্নিতকরণ, মৎস্যজীবীদের পুনর্বাসনে সরকারের গৃহীত কার্যক্রম, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকি হ্রাসে করণীয় বিষয়েও আলোকপাত করা হয়।

উক্ত প্রশিক্ষণের প্রধান অতিথি সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সাগরের প্রাকৃতিক সম্পদ টেকসই উপায়ে আহরণে মৎস্য সংরক্ষণ দলের প্রতিটি সদস্যের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে সাগরের জীববৈচিত্র রক্ষায় সকলের অংশগ্রহণ এবং সঠিক জেলেদের তালিকা তৈরীতে সকলের অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন।

ইকোফিশ-২ প্রকল্পের গবেষণা সহযোগী শহীদ নাসরুল্লাহ আল মামুন গ্রামের সকল মৎস্যজীবীদের নিয়ে এক সাথে বাৎসরিক কর্ম-পরিকল্পনা প্রস্তুতকরণ এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতিতে অংশগ্রহণের জন্য সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।