সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘটিত বিস্ফোরণে এপারের সীমান্তবর্তী বাড়িঘর কেঁপে উঠেছে।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় তিনটি বিস্ফোরণের তীব্রতা অনুভূত হয়।
সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। জান্তা বাহিনী আরাকান আর্মির দখলে থাকা একাধিক শহর ও গ্রাম পুনরুদ্ধারে সেখানে ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে। অপরদিকে আরাকান আর্মিও পাল্টা আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
জানা গেছে, জান্তা সরকার রাখাইনের বলিবাজার এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এসব বিস্ফোরণের প্রভাব টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় অনুভূত হয় এবং সীমান্তবর্তী বাড়িঘর কেঁপে ওঠে।
হোয়াইক্যং সীমান্তের বাসিন্দা এস.এম ফরিদ সওদাগর জানান, রবিবার মধ্যরাত সাড়ে ১২টার দিকে হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পরপর তিনটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মনে হচ্ছিল বজ্রপাত ও ভূমিকম্পে বাড়িঘর ভেঙে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভয়ে পরিবার নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে বাইরে অবস্থান করি।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু জানান, মধ্যরাতে সীমান্তে বিকট বোমার শব্দ শোনতে পায়। সীমান্তের নিকটবর্তী হওয়ায় বাড়িঘর থর থর করে কেঁপে উঠেছে। এতে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমামুল হাফিজ নাদিম জানান, রাতেই বিষয়টি অবগত হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করেন এবং নিরাপদে থাকার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। তাছাড়া এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
| সূর্যোদয় :- ৫:১০ | সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯ |
| নাম | সময় |
| ফজর | ৪:১৫ |
| যোহর | ১২:১০ |
| আছর | ৪:৫০ |
| মাগরিব | ৬:৪৫ |
| এশা | ৮:১৫ |