মাছ শিকারের সময় কক্সবাজারের টেকনাফে তিনটি ট্রলারসহ ১৬ জন রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা।
টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় আরাকান আর্মি টেকনাফ পৌরসভার জাকির, নুর মোহাম্মদ মালিকানাধীন তিনটি ট্রলারসহ ১৬ জন জেলেকে আটক করে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি।
মিয়ানমার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকার অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে আরাকান কোস্টাল সিকিউরিটি পেট্রোল নিয়মিত টহল পরিচালনা করছে।
১৮ নভেম্বর সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে মংডু টাউনশিপের থাওয়াইং চাউং গ্রামের পশ্চিম উপকূল থেকে প্রায় ২.৭ কিলোমিটার দূরে অভিযান চালিয়ে একটি ট্রলারসহ ৬ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী। ট্রলার থেকে জাল, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও বাংলাদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়।
অন্যদিকে, একই দিনে রাথেডং টাউনশিপ উপকূল থেকে প্রায় ৩.৫৮ কিলোমিটার দূরে আরেকটি অভিযান চালিয়ে আরও দুটি ট্রলারসহ ১০ জেলেকে আটক করা হয়। এসব ট্রলারে থাকা জাল, মাছ ও অন্যান্য মালামালও জব্দ করা হয়।
মোট তিনটি ট্রলার ও ১৬ জন জেলেকে আটক করে জব্দকৃত মালামালসহ তাঁদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আরাকান অঞ্চলের আইন অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সর্বশেষ ১২ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরের অদূরে মাছ শিকারে সময় মিয়ানমার জলসীমানা অতিক্রম করায় দুটি ট্রলারসহ ১৩ জন রোহিঙ্গা জেলেকে আটক করেছে মিয়ানমার আরাকান আর্মি।
ট্রলারমালিক ও বিজিবির দেওয়া তথ্য মতে, গত ১১ মাসে (গত বছর ডিসেম্বর থেকে) আরাকান আর্মি নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগর থেকে ৩২৮ জন জেলেকে অপহরণ করেছে। বিজিবির প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জন জেলেসহ ২৭টি ট্রলার ফেরত আনা সম্ভব হলেও আরও ২৮ টি ট্রলার ও ১৬৮ জন জেলে রাখাইন রাজ্যের কারাগারে আটক রয়েছেন।
| সূর্যোদয় :- ৫:১০ | সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯ |
| নাম | সময় |
| ফজর | ৪:১৫ |
| যোহর | ১২:১০ |
| আছর | ৪:৫০ |
| মাগরিব | ৬:৪৫ |
| এশা | ৮:১৫ |