কক্সবাজারের উখিয়ায় লোকালয়ের বিল থেকে ‘বৈদ্যুতিক ফাঁদের তারে স্পৃষ্ট’ হয়ে মারা যাওয়া এক বন্যহাতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বনকর্মিরা।
বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, সোমবার গভীর রাতের যে কোন সময় উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম খয়রাতি রহমানিয়া পাড়া সংলগ্ন বিলে এ ঘটনা ঘটেছে।
তিনি জানান, মৃত উদ্ধার হাতিটির বয়স আনুমানিক ৪০ থেকে ৪৫ বছর। হাতিটির শরীরের কয়েকটি জায়গায় কালচে পুড়া দাগ রয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে আব্দুল মান্নান বলেন, মঙ্গলবার সকালে উখিয়ার পশ্চিম খয়রাতি রহমানিয়া পাড়া সংলগ্ন বিলে একটি বড় আকারের বন্যহাতি মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে অবহিত করেন তারা। ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর বনকর্মিদের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এসময় স্থানীয় বিলে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকা হাতিটি উদ্ধার করা হয়েছে।
হাতিটির মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হতে না পারলেও শরীরে কালচে পুড়া দাগ দেখে প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদে পড়ে মৃত্যু হতে পারে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পল্লী চিকিৎসক মো. ইউনুস বলেন, পাহাড়ে খাদ্য সংকটের কারণে বন্যহাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এতে অনেক সময় বন্যহাতি লোকালয়ে চলে আসে। সাম্প্রতিক সময় পাহাড়ী এলাকার আশপাশে বন্যহাতির বিচরণ বেড়ে গেছে। এতে লোকালয়ে আসা হাতির হানায় ফসলের ক্ষেত এবং বসত ঘর নষ্টের ঘটনা ঘটেছে।
আর বন্যহাতির কাছ থেকে ফসলি ক্ষেত ও বসত ঘর রক্ষায় অনেকে বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদ বসিয়েছে। এতে লোকালয়ে নেমে আসা বন্যহাতি মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
বনরেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, হাতিটির ময়নাতদন্ত শেষে মাটি দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাতিটির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
বন বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত উখিয়া ও টেকনাফ এলাকায় মোট পাঁচটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফে একটি মা হাতির মৃত্যু, হ্নীলা বিট এলাকা ও জুমছড়িতে দুইটি, দোছড়িতে একটি এবং সর্বশেষ উখিয়ার পশ্চিম খয়রাতিতে একটি হাতি মারা যায়।
| সূর্যোদয় :- ৫:১০ | সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯ |
| নাম | সময় |
| ফজর | ৪:১৫ |
| যোহর | ১২:১০ |
| আছর | ৪:৫০ |
| মাগরিব | ৬:৪৫ |
| এশা | ৮:১৫ |