শিক্ষার মানোন্নয়ন, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯ দফা দাবী উপস্থাপন করে কক্সবাজার সরকারি কলেজে স্মারকলিপি প্রদান করেছে কলেজ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। বুধবার সকালে কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপির উল্লেখিত দফাসমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
স্মারকলিপি
তারিখ: ২৩ জুলাই ২০২৫
বরাবর
অধ্যক্ষ
কক্সবাজার সরকারি কলেজ
কক্সবাজার।
বিষয়: কক্সবাজার সরকারি কলেজে শিক্ষার মানোন্নয়ন, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯ দফা দাবী উপস্থাপন প্রসঙ্গে।
মাননীয় অধ্যক্ষ মহোদয়,
বিনীতভাবে জানানো যাচ্ছে যে, কক্সবাজার সরকারি কলেজ জেলার বৃহত্তম ও অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে হাজারো শিক্ষার্থীর আশার আলো। কিন্তু বাস্তবতা হলো, শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে—শিক্ষা, নিরাপত্তা, অবকাঠামো, প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা, মানবিক সহায়তা ও স্বচ্ছতার ঘাটতির কারণে। তাই কলেজের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমরা কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক নিচের ১৯দফা দাবি পেশ করছি:
১. কলেজের প্রত্যেক ক্লাস রুম স্মার্ট ক্লাস রুমে রূপান্তর নিশ্চিত করতে হবে। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে কক্সবাজার সরকারি কলেজে বাস্তবায়ন হওয়া কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (সিইডিপি) এর প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল কলেজের প্রতিটি ক্লাস রুমকে স্মার্ট ক্লাস রুমে রূপান্তর নিশ্চিত করা।
২. স্নাতক (অনার্স ও পাস) এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণির ক্লাস সপ্তাহে ৫ দিন চালুর ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. কলেজে বিদ্যমান সকল বিষয়ে মাস্টার্স চালু করতে হবে এবং যুগোপযোগী বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালুর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. কলেজের যাবতীয় শ্রেণি কার্যক্রম বিসিএস ক্যাডার শিক্ষকদের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।
৫. কলেজের কম্পিউটার ল্যাব, ল্যাংগুয়েজ ল্যাবসমূহ আধুনিকায়ন করে তা ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।
৬. কলেজের মেইন গেটের পশ্চিম পাশের অধৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করতে হবে এবং ভূমিদস্যু অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে কলেজের বেহাত হওয়া সরকারি ভূসম্পত্তি পুনরুদ্ধার করতে হবে।
৭. ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত ফি ও বাড়তি ফি আদায় বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে পরীক্ষার নামে বাড়তি ফি আদায় করা যাবে না। সবক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ ফি চার্ট প্রকাশ করতে হবে।
৮. মজলুম ও অসহায় কর্মচারীদের উপর দমন পীড়ন পরিহার করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় জনবল ছাঁটাই করে কলেজের ব্যয় হ্রাস করে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে আদায় করা ফি’র পরিমাণ কমাতে হবে।
৯. কালচারাল ক্লাব, রিসার্চ ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, বিতর্ক ক্লাব প্রভৃতি গঠন করতে হবে এবং দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। এসবের কার্যক্রম দক্ষ ও বিতর্কের উর্ধ্বে এমন শিক্ষক দ্বারা পরিচালনা করতে হবে।
১০. ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসগুলোতে যাবতীয় আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস কতিপয় ছাত্রসংগঠনের প্রভাব মুক্ত করে কলেজ ক্যাম্পাসে সকল দল ও মত এর সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
১১. কলেজের দরিদ্র তহবিলের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে প্রকৃত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের হাতে এই তহবিলের সহায়তা পৌঁছে দেয়ার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১২. ডে কেয়ার সেন্টার, ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার, ছাত্রী কমনরুম, ছাত্রীদের নামাজ কক্ষ প্রভৃতি নিশ্চিত করতে হবে।
| সূর্যোদয় :- ৫:১০ | সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯ |
| নাম | সময় |
| ফজর | ৪:১৫ |
| যোহর | ১২:১০ |
| আছর | ৪:৫০ |
| মাগরিব | ৬:৪৫ |
| এশা | ৮:১৫ |