সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
Logo টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি Logo টানাপোড়েনে সেন্টমার্টিনবাসির জীবন Logo সাবরাংয়ে গণমিছিল ও পথসভায় জেলা জামায়াতের আমীর ❝অতীতের ব্যর্থ নেতৃত্বকে প্রত্যাখ্যান করে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব কায়েম করতে হবে❞ Logo ইউনুস মেম্বার হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের; এজাহার নামীয় ৮, অজ্ঞাত ৭/৮ Logo ট্রলারসহ ছয় জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি Logo ২১ হাজার ইয়াবাসহ এক টমটম চালককে আটক Logo কক্সবাজার-৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে সড়কে আগুন ও কলাগাছ রোপন সমর্থকদের Logo গহীন পাহাড়ে বন্দিশালা থেকে উদ্ধার ২৫, আটক ২ Logo লক্ষ্মী আসনে’ ধানের শীষের ভরসা আবারও শাহজাহান চৌধুরী Logo উখিয়ায় স্কুলছাত্রদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

১৭ বছরেও হলো না কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

রূপান্তর ডেস্ক
আপডেট সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ৪:৪০ অপরাহ্ন
User comments

প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরেও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (কমেক) আলোর মুখ দেখেনি। নানা জটিলতার বেড়াজালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে ১০ তলা বিশিষ্ট ৫০০ শয্যার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবনের নিমার্ণ প্রকল্প।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এক সফরে কক্সবাজার আসছেন। তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে সাথে নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এই সফরকে ঘিরে ১৭ বছর ধরে আটকে থাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবন নিমার্ণ প্রকল্প দ্রুত শুরু করা এবং হাসপাতাল চালুর দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন মহল। এই উপলক্ষে চিকিৎসক ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও সংবাদ সম্মেলনও করেছেন।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের একটি ছোট ইউনিটে ২০০৮-২০০৯ সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে শুরু হয় কমেকের যাত্রা। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০১০ সালের নভেম্বরের শুরুতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালকে অস্থায়ী কমেক হাসপাতাল ঘোষণা করে। এরপর ২০১১ সালের কক্সবাজার শহরের জানারঘোনা এলাকায় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভবন নিমার্ণ শুরু হয়। ২০১৭ সালে ওই স্থায়ী ক্যাম্পাসে কলেজ কার্যক্রম চলছে। ওই ২০১৭ সালের ৬ মে কক্সবাজারে সফরে আসা প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত শুরু হয়নি ভবন নির্মাণ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভুল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনার (ডিপিপি) কারণে কমেক হাসপাতালের নির্মাণকাজ আটকে রয়েছে। বৈদেশিক সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পরে তা বাতিল করা হয়। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ২ ডিসেম্বরে প্রকল্পটি নিমার্ণ ক্রয় রিভিউ করতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে গণপূর্ত অধিদপ্তরে প্রেরণ করে। ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগের গণপূর্ত অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলীর সভাপতিত্বে রিভিউ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রিভিউ প্রস্তাবটি সিসিডিপি অনুমোদনের জন্য গত ২৩ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও ওখানে আটকে রয়েছে ওই প্রকল্প।

পরে শুক্রবার অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এক সফরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবন দ্রুত নিমার্ণের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি প্রদান শেষে সংবাদ সম্মেলেন তাদের দাবির যৌক্তিকতা উপস্থাপন করেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, এখনও কক্সবাজার সদর হাসপাতালকে অস্থায়ী কমেক হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল ক্লাস নিতে আসতে হচ্ছে। যা চরম ভোগান্তির। কক্সবাজারে বর্তমানে ২৮ লাখ মানুষ। এখানে রয়েছে ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি। ২৫০ শয্যার কক্সবাজার সদর হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবার জন্য পর্যাপ্ত না। এখানে রয়েছে নানা সংকটও।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এখানে হেমাটেলজি, হেপটোলজি, আপথ্যালমলজি, সাইকিয়াট্রি, নিউরোমেডিসিন, নিউরোসার্জারি, এনআইসিইউসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের সংকট রয়েছে। নেই কোন বিশেষায়িত বার্ণ ইউনিটও। যার জন্য অনেক রোগিকে প্রতিনিয়ত চট্টগ্রামে পাঠাতে গিয়ে মারাও যাচ্ছে।

এ পরিস্থিতি দ্রুত কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবন নিমার্ণ জরুরি বলে জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সভাপতি ডা. হিশাম, শিক্ষার্থী আছিবুল হক, রাহাত হোসাইন, আহসান শাকীক, শাহাদাত হোসেন হৃদয়, ফাহিম হাসান নিলয় প্রমুখ।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) কক্সবাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, কক্সবাজারের বড় ইস্যু রোহিঙ্গা সমস্যা। রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসাসেবায়। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ অনেক। তাই কমেকে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ হলে স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের সেবা বাড়বে। চিকিৎসা জট কমবে সদর হাসপাতালে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো সংবাদ পড়ুন...
  • নামাজের সময়সূচি
  • সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • সূর্যোদয় :- ৫:১০ সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯
    নাম সময়
    ফজর ৪:১৫
    যোহর ১২:১০
    আছর ৪:৫০
    মাগরিব ৬:৪৫
    এশা ৮:১৫