পরিবেশবাদী সংগঠনের বাঁধার মুখে সেন্টমার্টিন থেকে বেওয়ারিশ কুকুর পুনর্বাসন প্রক্রিয়াটি বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। এর আগে গত রোববার বিকেল চারটার দিকে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট এলাকা থেকে বেওয়ারিশ কুকুর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।
জানা যায়, গত রোববার প্রথম দিনে জাল ও ফাঁদ পেতে ৩৬ টি কুকুর আটক করা হয়। কুকুরগুলো লোহার খাঁচায় বন্দী করে টেকনাফ মূল ভূ-খন্ডের বিভিন্ন স্থানে পুনর্বাসন করার কথা থাকলেও প্রতিবাদের মুখে আটক ৩৬ টি কুকুর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী।
‘পিপল ফর ই-পেপার অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার’ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্থপতি রাকিবুল হক বলেন, প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ – এর ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোনো মালিকবিহীন প্রাণী হত্যা বা অপসারণ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই রাষ্ট্রের কোনো নাগরিক তো বটেই, সরকারের প্রশাসনও কুকুর নিধন বা অপসারণ করতে পারবেনা।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানায়, সমুদ্রসৈকতজুড়ে বেওয়ারিশ কুকুরের অবাধ বিচরণের কারণে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আসা পর্যটকরা প্রায় সময় আতঙ্কে থাকেন। এছাড়া সৈকতের বালুচরে ডিম ছাড়তে আসা মা কচ্ছপ কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়ে মারা যাচ্ছিল। তাই কুকুর পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ বলেন, বেওয়ারিশ কুকুর নিধন বা অপসারণের বিষয়ে উচ্চ আদালতে পরিবেশবাদী সংগঠনের করা একটি রিট রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে পরিবেশবাদীরা কুকুর পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় বাঁধা দেন। এ কারণে উদ্যোগটি আপাতত বন্ধ করা হয়েছে।
এই ধরণের আরো সংবাদ পড়ুন...