কক্সবাজারের রামুতে যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেট কার মুখোমুখি সংঘর্ষে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দূর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধিন দুই জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামু হাইওয়ে থানার ওসি নাছির উদ্দিন।

নিহতরা হলেন, ডাক্তার সুমাইয়া (৩৩) ও সালমা আহমেদ (৬০)। এর মধ্যে সুমাইয়া ব্যারিস্টার ইয়াসিন আহমেদের বোন এবং সালমা মা।

এর আগে রবিবার সন্ধ্যা ৬ টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের স্বপ্নতরী বিনোদন কেন্দ্রের সামনের এ ঘটনায় আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এরা হলেন, ব্যারিস্টার ইয়াসিন আহমেদ (৩৪) তার সন্তান ইয়াজান (৩)। এরা ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকায় বসবাস করেন এবং টাঙ্গাইলের বাসিন্দা।

ওসি নাছির উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যায় রামুর রশিদনগর ইউনিয়নের স্বপ্নতরী বিনোদন কেন্দ্রের সামনে চট্টগ্রামমুখি মারশা পরিবহন সার্ভিসের একটি বাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রাইভেট কারটি দুমড় মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু এবং ৫ জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এসময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত এক শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চিকিৎসক আহত অন্যদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এর মধ্যে সোমবার সকালে আর দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও আর দুই জন।

নিহতদের লাশ এখনও কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানান তিনি।