ভয়াবহ আর্থিক সংকটে সেন্ট মার্টিনের আট হাজার ছয়শতাধিক মানুষ। অনতিবিলম্বে পর্যটকদের দ্বীপ ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হোক।
মার্চ মাসের ৩০ তারিখ থেকে দ্বীপে পর্যটক আসা বন্ধ আছে। এমনি গত সিজন সবচেয়ে ছোট সিজন গেছে।
এতো কম সময়ের সিজন, নভেম্বরের ১৯ তারিখ থেকে মার্চের ৩০ তারিখ পর্যন্ত। এরমধ্যে আবার নির্বাচনের জন্য ৩ দিন ও আবহাওয়া খারাপের কারণে ৬ দিন মোট ৯ দিন পর্যটন আসাযাওয়া বন্ধ ছিলো।
মাত্র চার মাস আয় করে ৬ মাস বসে বসে খাওয়া আর খরচ করা আসলেই সম্ভব না। তার মধ্যে লাগামহীন দ্রব্যমূল্য। ফলে সংসার চালানো আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
গত দু’বছর বর্ষা বা অফ সিজনে পর্যটন বন্ধ থাকলেও করোনাকালিন সরকারি অনুদান ও ত্রান-সাহায্য পাওয়ায় তেমন সমস্যা হয়নি।
বিকল্পহীনঃ
বিকল্প আয়ের উৎস মৎস আহরণও দীর্ঘ ৬৫ দিন বন্ধ ছিল। এটা মৎস প্রজনন মৌসুম হিসেবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা।
আর নিষেধাজ্ঞা উঠার পর আবহাওয়া জনিত কারণে মৎস আহরণ বন্ধ ছিল আরও ১৫ দিন! এখন মাছ ধরা স্বাভাবিক হলেও আশানুরূপ মাছ ধরা পড়ছে না।
নিবন্ধিত জেলেদের নিষেধাজ্ঞার ক্ষতিপূরণ হিসেবে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দিয়েছে দুমাস! কিন্তু ৫/৬ জনের সংসারে ৩০ কেজি চাল দিয়ে কি হয়? আবার শুধু চাল দিয়েই কি সংসার যায়? ফলে ধারকর্জ বেড়েই চলেছে।
মরার উপর খরাঃ
এতো কম আয়ের মধ্যে আবার এ অফ সিজনে ব্যয়বহুল দুটি উৎসব ইদুল ফিতর ও ইদুল আজহা, ব্যয়বহুল মাস রমজান পড়ে। ফলে জমানো টাকা শুরুতেই শেষ!
আর্থিক সংকট নজরে আসে মূলত ইদুল আজহার সময়। শতকরা ৮০-৯০ ভাগ পরিবার কোরবানি দিতে ব্যর্থ হয়েছে!
সবচেয়ে বড় আঘাত পেয়েছিলাম কোরবানির দিন কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম যখন বয়ানের পর বিশেষ ঘোষণাটা দেন।
– কুরবানিদাতা কম হওয়ায় সমাজি গোসত খুবই নগন্য হবে। ফলে দুয়েকটা গরু কিনে সমাজিদের বণ্টন করে দেওয়া যায় কিনা জানতে চাওয়া হয়েছে!
আত্মকথনঃ
আমরা মূল ভূখণ্ড থেকে বহু দূরে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মানুষ! আমৃত্যু প্রকৃতি আর দারিদ্রতার সাথে লড়াই করি বংশপরম্পরায়। নাগরিক সুযোগসুবিধা তেমন পাইনা, বঞ্চিত আর অবহেলিত বলে চাইও না!
খুব কষ্ট না হলে আমরা নিরব থাকি! কারণ আমাদের কথা শুনবার বা কান্না দেখার মতো কোন আমলা প্রশাসন নেয়। নেই কোন হর্তাকর্তা। তারা তো কেবল হুকুমজারিতে ব্যাস্ত। কারণে-অকারণে, সময়ে-অসময়ে নির্দেশ আর নিষেধাজ্ঞা দেয়!
এবার সংকটের অন্যতম কারণ গত সিজন ছোট হওয়া, মৎস সংকট ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া। এখন পর্যটনটা খুলে না দিলে জীবনযাত্রা আরো জটিল হয়ে যাবে।
সূর্যোদয় :- ৫:১০ | সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯ |
নাম | সময় |
ফজর | ৪:১৫ |
যোহর | ১২:১০ |
আছর | ৪:৫০ |
মাগরিব | ৬:৪৫ |
এশা | ৮:১৫ |