টেকনাফ সদরের দরগারছড়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় জাফর গ্যাংয়ের হামলায় একজন আহত হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। ঘটনাটি সদরের ১নং ওয়ার্ডের দরগারছড়া বাজারে রুবেলের মুদির দোকানের সামনে সন্ধ্যা ৬.৩০টায় ঘটেছে।
আহত ব্যক্তি হল মৃত নাজির হোছনের ছেলে সরওয়ার কামাল(৩০)। আর হামলাকারী গ্রুপের মধ্যে ছিলেন নুর হোসেন মুন্সির ছেলে রাশেল মুন্সি(৪০), মৃত ওলা মিয়ার ছেলে জাফর আহমদ(৫০), নুর হোসেন মুন্সির ছেলে রেজাউল করিম(৩০), নুর হোসেন মুন্সির ছেলে শাকের আহমেদ(৩৫), মৃত অলি আহমদের ছেলে নুর হোসেন মুন্সি(৬০)। হামলায় আহত হওয়া অসহায় ব্যক্তি সরওয়ার কামাল বলেন, বিবাদীরা দাঙ্গাহাঙ্গামাকারী, ভূমিদস্যু, উশৃংখল, পরধনলোভী লোক হয়। তারা বিভিন্ন সময় আমাকে মারবে, ধরবে, মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিল। তারই সূত্র ধরে আজ সন্ধ্যায় বিবাদী জাফর আহমদ গ্যাংয়ের নির্দেশে দা, কিরিচ, লোহার রড, লাটি, ছুরি, হাতুড়ি দিয়ে অতর্কিতভাবে আঘাত করলে আমি আঘাত সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিবাদী রেজাউল করিম, শাকের আহমদ, নুর হোসেন মুন্সি আমাকে দৌড়াইয়া ধরে তাদের হাতে শক্ত করে ধরে রাখলে বিবাদী জাফর আহমদ ও রাশেদ মুন্সির হাতে থাকা দা, হাতুড়ি দিয়ে আমাকে নাকে মুখে সজোরে আঘাত করিলে আমার প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে আমি মাটিতে পড়ে যায়। মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরেও আবার সব বিবাদীরা মিলে সর্বশরীরে ইচ্ছাকৃতভাবে মেরে সারা শরীরে নীলা ফোলা জখম করিলে আশেপাশের লোকজন আমার চিৎকারে আমাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে তখনও রাশেদ মুন্সি আমাকে একদিন না একদিন হত্যা করবেন বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। ওনারা একটা গ্রুপ মিলে দীর্ঘদিন এলাকায় অত্যাচার চালাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। আমি হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে ওনাদের সঠিক বিচার দাবী করছি। এদিকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে আসলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে সে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে বলে জানা যায়।
এদিকে মডেল থানায় বিবাদীদের নামে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূর্যোদয় :- ৫:১০ | সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯ |
নাম | সময় |
ফজর | ৪:১৫ |
যোহর | ১২:১০ |
আছর | ৪:৫০ |
মাগরিব | ৬:৪৫ |
এশা | ৮:১৫ |