টেকনাফে রোহিঙ্গা স্বামী-সন্তানের হাতে রাজিয়া বেগম নামে এক গৃহবধূর নৃশংস মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে পৌরসভার নাইট্যং পাড়াস্থ নুর আহমদ ঘোনা নামক স্থানে এ মর্মান্তিক হত্যাকান্ডটি ঘটে।
সুত্রে জানা যায়, জন্মসূত্রে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের গুলশান থানাধীন উত্তর বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা রাজিয়া বেগম। ১৯৯৯ সালে রোহিঙ্গা জাবেদ উল্লাহ নামে এক ব্যক্তির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় দীর্ঘ ২২ বছর যাবত টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যং পাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সময় ছেলে ও স্বামী ব্যবসা-বাণিজ্যের অজুহাতে টাকা দাবি করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। এই নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েক বার শালিস হলেও স্থায়ী কোন সুরাহা পাননি নিহত রাজিয়া বেগম। প্রতি সালিশের পর কিছু দিন ভালো থাকলেও যে লাউ সে কদু। পিতা-পুত্রের নির্যাতন চলতে থাকত। একপর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূ রাজিয়াকে শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে মৃত্যু নিশ্চিত করেন ঘাতক পিতা-পুত্র।
নিহত রাজিয়ার বড় বোন গুল বাহার বলেন, গত ২২ বছর আগে রোহিঙ্গা জাবেদ উল্লাহর সাথে আমার বোনের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। গত কয়েক বছর ধরে বোন জামাই ও ভাগিনা হেদায়েত উল্লাহ বিভিন্ন সময় ব্যবসা-বাণিজ্যের অজুহাতে টাকা দাবি করে আসছিল। তাদের চাহিদামাফিক যথাসময়ে টাকা দিতে না পারলে আমার বোনের উপর চলত অকথ্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এদিকে গত কিছুদিন পূর্বে আমার বোনের প্রথম স্বামীর ঘরের দুই প্রবাসী পুত্রের কষ্টার্জিত আড়াই লক্ষ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ার পায়তারা করছিল বোন জামাই ও ভাগিনা। পাশাপাশি বসবাসরত জমি আমার বোনের নামে হওয়ায় জমির দলিল হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে আসছিল। আমার বোন এতে অস্বীকৃতি জানালে পিতা-পুত্র মিলে আমার বোনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি এই নারকীয় হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ঘাতকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।
সূর্যোদয় :- ৫:১০ | সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯ |
নাম | সময় |
ফজর | ৪:১৫ |
যোহর | ১২:১০ |
আছর | ৪:৫০ |
মাগরিব | ৬:৪৫ |
এশা | ৮:১৫ |