১৫ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মরিচ্যাঘোনা এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ এজাহার মিঞার ছেলে শাহ জামাল তাঁর ক্রয়কৃত জমিতে একদল লোক এসে বাউন্ডারি ভেঙে ফেলছে এমন খবর পেয়ে ছুটে গেলে সেখানে অবস্থানরত লোকগুলো ধারালো কিরিচ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে তাঁকে রক্তাক্ত করে মাটিতে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে তাঁর ছোটভাই কামাল ছুটে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে রেফার করে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ৫ম তলায় সার্জারি বিভাগের ডাক্তারগণ জামালকে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা প্রদান করে মোটামুটি স্থিতিশীল অবস্থায় আনতে সক্ষম হয়। আজ সরেজমিনে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় জামালের মাথায় ১২টি সেলাই, পায়ে, বুকে ও পিঠে বড় রকমের জখম হয়েছে এবং তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে বলেও জানান ডিউটিরত ডাক্তার।
উল্লেখ্য, শাহ জামাল দীর্ঘদিন পর প্রবাস থেকে দেশে ফিরে মরিচ্যাঘোনা এলাকায় জুলু মিঞা, আব্দুর রশিদ, সরওয়ার কামাল ও সৈয়দ নুর থেকে ১৮৩০ ও ২৯৭ খতিয়ান দাগে মৌলভীবাজারের ছিদ্দিকের জমির সাথে লাগোয়া ১ একর ৬২ শতক চাষের জমি ক্রয় করে। জমি কেনার পর থেকে ছিদ্দিক গং এর সাথে জামালের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এমনকি বিভিন্ন সময় জামালকে প্রাণনাশের হুমকিধামকি দিয়ে আসছে বলেও জামালের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। মঙ্গলবার জামালকে প্রাণে মেরা ফেলার উদ্দেশ্যে নুর আহমদ মিন্টু ও মাস্টার জামালের নের্তৃত্বে তাঁর ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়।
এব্যাপারে ভিকটিম জামালের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ছিদ্দিক গংরা আমার জমির সীমানা উপড়ে ফেলছে শুনে আমি মোটরসাইকেল যোগে তাড়াহুড়ো করে ঘটনাস্থলে গেলে সাথে সাথে মিন্টু ও জামাল মাস্টারের নের্তৃত্বে আমার ওপর হামলে পড়ে কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আমার মোটরসাইকেল, ২টি মোবাইল ফোন ও নগদ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা তারা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়।
এ ঘটনায় জামালের স্ত্রী কহিনুর জামাল বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় মৌলভীবাজারের আব্দুস সালামের ছেলে মিন্টুকে(৩৬) ১ নং আাসামী, মাস্টার জামালকে(৩৯) ২ নং আসামী, আব্দুস সালাম, মোহাম্মদ হোসন, নুরুল আমীনসহ ১২ জনকে প্রধান আাসামী ও আরও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামে রেখে মামলা রুজু করেন।
সূর্যোদয় :- ৫:১০ | সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯ |
নাম | সময় |
ফজর | ৪:১৫ |
যোহর | ১২:১০ |
আছর | ৪:৫০ |
মাগরিব | ৬:৪৫ |
এশা | ৮:১৫ |