সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে পাঁচ কোটি একানব্বই লক্ষ পঁয়ষট্টি হাজার টাকা মূল্যমানের ১.০৬৩ কেজি আইস, ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১৫ কেজি কারেন্ট জাল ও একটি কাঠের নৌকা জব্দ করেছে বিজিবি সদস্যরা। এসময় দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়৷ আটককৃত হচ্ছে- রঙ্গিখালীর আবুল কাশেমের পুত্র মো. রিয়াজ উদ্দিন (২০), নুর মোহাম্মদের পুত্র সাদ্দাম হোসেন (১৯)।
২৯ জুলাই (শুক্রবার) ভোরে হ্নীলা ইউপির নাফনদী এলাকায় একটি নৌকার পাটাতনের নিচ থেকে এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত আনোয়ার প্রজেক্ট এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে যায় বিজিবি সদস্যরা। এসময় বিজিবি সদস্যরা নাফ নদীস্থ বেড়ীবাঁধের আঁড়ে কৌশলগত অবস্থান নেয়। হঠাৎ দুইজন ব্যক্তিকে কাঠের নৌকা দিয়ে শূন্য লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেখে। নৌকাযোগে আসা ব্যক্তিদ্বয় নাফনদীর তীরে পৌঁছলে বিজিবি সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করলে নৌকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। পরবর্তীতে চোরাকারবারীদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নৌকার পাটাতনের নিচ থেকে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর থেকে ১.০৬৩ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) এবং ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অবৈধ মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে একটি কাঠের নৌকা এবং ১৫ কেজি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাদকদ্রব্য, কাঠের নৌকা ও কারেন্ট জালের আনুমানিক সিজার মূল্য পাঁচ কোটি একানব্বই লক্ষ পঁয়ষট্টি হাজার টাকা।
এ বিষয়ে টেকনাফ- ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে জব্দকৃত ক্রিস্টাল মেথ (আইস) এবং ইয়াবা ট্যাবলেট বহন ও পাচারের দায়ে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া, জব্দকৃত কাঠের নৌকা ও কারেন্ট জাল হ্নীলা কাস্টমস অফিসের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
সূর্যোদয় :- ৫:১০ | সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯ |
নাম | সময় |
ফজর | ৪:১৫ |
যোহর | ১২:১০ |
আছর | ৪:৫০ |
মাগরিব | ৬:৪৫ |
এশা | ৮:১৫ |