কক্সবাজারের টেকনাফে সড়ক দূর্ঘটনায় মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত এক যুবক ও নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরে বিষপানে আত্মহত্যায় নুর কামাল (২১) নামে আরেক যুবকসহ দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এইদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের নাম ও ঠিকানা শনাক্ত করা সম্ভব না হলেও ওই ঘটনায় সাদ্দাম হোসেন নামে এক মিনিকার চালককে আটক করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো হাফিজুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদশী সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের ডি ব্লক, ৭৪৩নং শেডের ৫নং কক্ষ থেকে নুর কামালকে মুমূর্ষু অবস্থায় (বিষ পান) স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে মোচনী রোহিঙ্গা শিবিরের আভ্যন্তরীণ এনজিও পরিচালিত একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
অন্যদিকে, একইদিন রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় কক্সবাজার থেকে টেকনাফগামী একটি মিনিকারের ধাক্কায় এক যুবক নিহত হয় (মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত পরিচয়ের)। এসময় স্থানীয় লোকজন মিনিকারসহ চালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে। পৃথক ঘটনায় নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করার পর থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
টেকনাফে মানসিক রোগীদের নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানসিক রোগীদের তহবিল (মারোতের) প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক রাজু পাল বলেন, দুর্ঘটনায় মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত পরিচয়ের এক মানসিক রোগীর মৃত্যুতে মারোত পরিবার শোকাহত। ইতোমধ্যে লাশটি মারোতের সদস্যদের সহায়তায় দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা যুবকের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ও দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া মানসিক রোগীর লাশটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মারোতের মাধ্যমে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি আটক চালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সূর্যোদয় :- ৫:১০ | সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯ |
নাম | সময় |
ফজর | ৪:১৫ |
যোহর | ১২:১০ |
আছর | ৪:৫০ |
মাগরিব | ৬:৪৫ |
এশা | ৮:১৫ |