মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন

টেকনাফে পাচারকারীর খপ্পর থেকে মুক্তিপণে উদ্ধার হলেও শান্তিতে নেই দুই যুবক!

মো. শেখ রাসেল, টেকনাফ
আপডেট শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:০১ অপরাহ্ন

চাকরি দেওয়ার কথা বলে নিয়ে গেলেন টেকনাফে, তুলে দিলেন মানব পাচারকারী সিন্ডিকেটের হাতে। পরে জিম্মি করে মোটা অংকের অর্থ আদায় করতে দুই যুবকের উপর চলে নির্মম নির্যাতন। এক পর্যায়ে স্বজনরা নিরুপায় হয়ে আড়াই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরিয়ে আনেন মো. পারভেজ ও আজিজুর রহমান নামে ওই দুই যুবককে।
জিম্মিদশা থেকে ফেরত আসা দুই যুবক উপজেলার হোয়াইক্যং ইউপির নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

গত ১৭ আগস্ট মুক্তিপণে ফিরে আসলেও পাচারকার্যের মূল হোতা আয়াজ উদ্দিন স্বগর্বে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ভিকটিমের পরিবার।
ভিকটিম আজিজুর রহমানের মা হাছিনা বেগম জানান, ছেলের জীবন বাঁচাতে নিরুপায় হয়ে ধার-দেনা করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেলেকে উদ্ধার করি। পরে পাচারকার্যের মূল হোতা আয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্থানীয় সমাজপতিদের কাছে নালিশ করি। ওই সময় আয়াজ টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলেও বর্তমানে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সমাজপতি হাজী মুহাম্মাদ ইদ্রিস জানান, চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে পারভেজ ও আজিজ নামে স্থানীয় দুই যুবককে মানব পাচারচক্রের কাছে বিক্রি করে দেয় আয়াজ উদ্দিন। পরে ওই দুই যুবকের স্বজনরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। আয়াজকে সালিশ বৈঠকে ডাকা হলেও সে আসেনি। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

ভিকটিম আজিজুর রহমান জানান, বটতলী এলাকায় খেলতে গেলে হোয়াইক্যং নয়াপাড়া এলাকার আয়াজ উদ্দিন দৈনিক ১ হাজার টাকা মজুরিতে কাজ দেওয়ার কথা বলে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। অনেকক্ষণ পার হলেও আয়াজ ফিরে না আসায় চলে আসতে উদ্যত হলে বাড়ির মালিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে এবং তাদেরকে আয়াজ উদ্দিন বিক্রি করে দিয়েছে বলে জানান। এক পর্যায়ে পাচারকারীরা তাদেরকে নৌকায় করে মিয়ানমারে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে এবং মুক্তিপণের জন্য নির্মম নির্যাতন শুরু করে। পরবর্তীতে স্বজনরা আড়াই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিলে তাদেরকে টেকনাফে এনে ছেড়ে দেয় পাচারকারীরা।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে দীর্ঘ ১২ ঘন্টা পর্যন্ত তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে এঘটনায় ভিকটিম আজিজুর রহমানের মা হাছিনা বেগম বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হিমেল রায় জানান, ”লিখিত অভিযোগ পেয়েছি৷ দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা ছুটিতে আছেন। তিনি আসলে বিস্তারিত জানানো যাবে”।

প্রসঙ্গত, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতকরণে অনুসন্ধানে গেলে ভিকটিমের পরিবারের নিকট থেকে মুক্তিপণের নগদ টাকা গ্রহণের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো সংবাদ পড়ুন...
  • নামাজের সময়সূচি
  • মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সূর্যোদয় :- ৫:১০ সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯
    নাম সময়
    ফজর ৪:১৫
    যোহর ১২:১০
    আছর ৪:৫০
    মাগরিব ৬:৪৫
    এশা ৮:১৫