পঞ্চম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী রামিশা। যে বয়সে বন্ধুদের সাথে হৈ-হুল্লোড় করে স্কুল যাওয়ার কথা ছিল, কাঁধে ব্যাগভর্তি বই থাকার কথা ছিল। সেখানে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কখনো ঘরের বিছানায়, আবার কখনো হাসপাতালের বিছানায় চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই, সুস্থ হয়ে ফিরে এসে ব্যাগভর্তি বই নিয়ে আবার স্কুলে যাবে, সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাধুলায় মেতে উঠবে।
বলছি- সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের সাবরাং ইউপির ৩নং ওয়ার্ড কাটাবনিয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম ও সাবরাং নোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস পারভীনের ২য় কন্যা রামিশা রহিম অমি’র কথা।
রামিশা অমি নোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী। সে দীর্ঘ ৬মাস ধরে জটিল রোগে আক্রান্ত। তার শরীরে প্লাস্টিক অ্যামোনিয়া রোগের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
শুরু থেকেই শিশু অমির বাবা আব্দুর রহিম ও মা নার্গিস পারভীন আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার সহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করলেও আজ অবধি তার শরীরের কোন উন্নতি হয়নি। এরই মধ্যে তাদের পারিবারিক অসহায়ত্বের কারণে মেয়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে পড়েছে এবং অকালে একটি প্রাণ হারানোর ভয়ে অমির বাবা-মা সমাজের বিত্তশালী মানুষের কাছে আর্থিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন। বর্তমানে অসুস্থ অমি পারিবারিক অভাবের কারণে বাড়িতে অবস্থান করছেন।
এইদিকে শিশু রামিশা রহিম অমির চিকিৎসার খরচের বিষয়ে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালের চিকিৎসক দিলশাদ জাহান বলেন, শরীরে রক্ত গঠনের সেল অকেজো হয়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পরিপূর্ণ সুস্থ হতে চিকিৎসা বাবদ প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা ব্যয় করতে হবে।
এ বিষয়ে অমির বাবা-মা বলেন, আমাদের মেয়ে খুবই মেধাবী। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ২০২২ খ্রি. অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে তার শরীরে এই প্লাস্টিক অ্যামোনিয়া রোগের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। শুরু থেকেই আমরা নিজেদের সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করে যাচ্ছি। বর্তমানে আমরা সংকটে পড়েছি। এমতাবস্থায় মহান আল্লাহর দেয়া পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহার শিশু সন্তানকে বাঁচাতে দেশে এবং প্রবাসে অবস্থানরত সমাজের সম্পদশালী ও বিত্তবান মানুষের আর্থিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছেন তারা।
উল্লেখ্য, রামিশা রহিম অমি এর বাবা আব্দুর রহিমের স্থানীয় বাজারে একটি ঔষধের দোকান রয়েছে এবং মা নোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:
১. আব্দুর রহিম
একাউন্ট নং- ১০২১১২০০৭৬২৩৬.
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিঃ, টেকনাফ শাখা, কক্সবাজার।
২. আব্দুর রহিম
একাউন্ট নং- ১০৮৩৪২২০০৮২১৭.
ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংক।
৩. বিকাশ নং -০১৮৪০৭৭৪৮৬১ (পারসোনাল।
সূর্যোদয় :- ৫:১০ | সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯ |
নাম | সময় |
ফজর | ৪:১৫ |
যোহর | ১২:১০ |
আছর | ৪:৫০ |
মাগরিব | ৬:৪৫ |
এশা | ৮:১৫ |