বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
Logo আহত ১ হাজার ফিলিস্তিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হতে পারে বাংলাদেশে Logo পুলিশ সদস্য ও তার দুই সহযোগীকে ই’য়া’বাসহ আ’টক Logo মেরিন ড্রাইভে পরিত্যক্ত ‘হ্যান্ড গ্রেনেড’ উদ্ধার Logo বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে জেলেদের ওপর বিএসএফের হামলা Logo পাঁচ মাসে দেড় শ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি Logo টেকনাফে সমুদ্র সৈকতে ৫২১ কাছিম ছানা অবমুক্ত Logo মারিশবনিয়া পাহাড় থেকে অপহৃত কৃষককে মুক্ত করতে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি Logo রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের যুবক খুন Logo টেকনাফে চোরাইপথে আসা বাছুরসহ ১৭টি মহিষ নিলামে বিক্রয় হলো ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় Logo ‎হ্নীলায় পাহাড় থেকে উদ্ধারকৃত টমটম চালকের জানাযা সম্পন্ন; জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

এবার ‘হু আর ইউ’ বলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দিলো কুবি শিক্ষক!

হাবিবুর রহমান, কুবি / ১৪২৬ বার পড়া হয়েছে
আপডেট বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২, ১১:২৭ অপরাহ্ন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বনানী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদেরকে হেনস্তা করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়েছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। ২৪ আগস্ট একই চিঠি উপ-উপাচার্য, প্রক্টর ও ডিন বরাবরও জমা দিয়েছেন তাঁরা। তবে অভিযোগের কারণে পরীক্ষার ফলাফলে প্রভাব পড়তে পারে বলে অভিযোগপত্রে নাম উল্লেখ করেননি কেউ।

অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিভাগীয় প্রধান তাঁদের সাথে বিভিন্ন সময় অসদাচরণ করেন। কোনো বিষয়ে তাঁর কক্ষে দেখা করতে গেলে বিদ্রুপ আচরণ করেন। প্রায়সময়ই ‘হু আর ইউ’ বলে শ্রেণিকক্ষ থেকেও শিক্ষার্থীদের বের করে দেন।

অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা আরও উল্লেখ করেন, একটি সেমিস্টারে শিক্ষার্থীরা সিলেবাসের মধ্য থেকে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী কোর্স নিতে চাইলেও তিনি তাঁদেরকে কোর্স নিতে দেননি। উল্টো শিক্ষার্থীদেরকেই ওই কোর্স পরিচালনা করতে বলেন তিনি।

এ ছাড়া, বিভিন্ন সময় শ্রেণিকক্ষে অন্য শিক্ষকদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন বলেও অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এমনকি পরিবারের জন্য বাজার করাসহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন কাজেও শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেন তিনি। কেউ এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁদেরকে বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকিও দেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে অভিযোগকারীদের পরিচয় জানার পর কয়েকজনের সাথে কথা হয়েছে। তাদের একজন বলেন, ‘তাঁর (শিক্ষক বনানী) অসদাচরণে আমরা অতিষ্ঠ। অভিযোগপত্রে নাম উল্লেখ করলে আমাদের ফলাফলে প্রভাব পড়বে। এই ধরণের আচরণ থেকে মুক্তি পেতেই উপাচার্য বরাবর অভিযোগ দিয়েছি আমরা। সাবেক শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওনার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।’

অভিযোগের সত্যতা জানতে ইংরেজি বিভাগের একাধিক শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ হয় । তাঁদের মধ্য থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ‘বিভাগীয় প্রধানের এমন আচরণে সহকর্মী হিসেবে আমরাও লজ্জিত এবং বিব্রত। ওনি শুধু শিক্ষার্থীদের সাথেই এ ধরনের আচরণ করেন না, শিক্ষকদের সাথেও করেন। প্রায়ই বিভাগের অন্য শিক্ষকদের নামে মিথ্যাচার করেন তিনি। মতের অমিল হলে হেনস্তাও করতে ছাড়েন না। সম্প্রতি কনিষ্ঠ শিক্ষকদের নিজের দলে নেওয়ার জন্যও তাঁদেরকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেছেন।’

স্নাতকোত্তরে থিসিস পাওয়া শিক্ষার্থীরা তার অধীনে কাজ না করার কারণে অন্যান্য কোর্সে তাঁদেরকে নাম্বার কমিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন আরেক শিক্ষক।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ড. বনানী বিশ্বাস বলেন, ‘এই কাজ আমাদের কোনো শিক্ষার্থী করতে পারে না। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। বিভাগের ২ শতাংশ শিক্ষার্থীরও যদি আমার প্রতি অসন্তোষ থাকে, আমি সব ছেড়ে দেব। প্রতিটি মিডটার্মের পর আমি খাতা শিক্ষার্থীদের দেখাই। অন্যান্য শিক্ষকদের ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা আমাকে অভিযোগ দেওয়ায় তাঁরা (শিক্ষকরা) আমার নামে মিথ্যাচার করছে।

এসব বিষয়ে মন্তব্য জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হলে তিনি জানান, তিনি একটি বেনামি চিঠি পেয়েছেন। কেউ যদি তাতে স্বাক্ষর করতো কিংবা তাঁর সাথে দেখা করে ঘটনার বর্ণনা দিত, তাহলেই তিনি এ বিষয়ে খোঁজ নিতেন।’

শিক্ষার্থীরাতো পরীক্ষার ফলাফলে প্রভাব পড়ার ভয়ে পরিচয় প্রকাশ করতে চান না- উপাচার্যকে এমন ক্ষুদেবার্তা পাঠানোর পর রাত সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো প্রতিত্তুর দেননি তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো সংবাদ পড়ুন...
  • নামাজের সময়সূচি
  • বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • সূর্যোদয় :- ৫:১০ সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯
    নাম সময়
    ফজর ৪:১৫
    যোহর ১২:১০
    আছর ৪:৫০
    মাগরিব ৬:৪৫
    এশা ৮:১৫