চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা এড ফখরুদ্দিনকে মঞ্চে বসানোকে কেন্দ্র করে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অপর দিকে এক ভিডিও বার্তায় এ ঘটনায় বিভ্রান্তি না ছড়াতে অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও বিএনপি নেতা আবুল মুনসুর।
জানা যায়, উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আওয়ামী সমর্থিত সাবেক জেলা পিপি এড. ফখরুদ্দিনকে মঞ্চে ডেকে নেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বিএনপি নেতা আবুল মুনসুর। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা না গেলেও পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকে এ ঘটনাকে আওয়ামী লীগের পুনপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা বলে অভিহিত করেন। আর এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দোষারোপ করেন অনেকে।
তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলাকালীন একটি ভিডিও বক্তব্য পোস্ট করেন মুক্তিযোদ্ধা আবুল মুনসুর। সেখানে তিনি বলেন, ফখরুদ্দিনকে জাতীর একজন শ্রেষ্ঠ সন্তান ও প্রবীণ ব্যক্তি হিসাবে মঞ্চে বসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এখানে কেউ কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ে মঞ্চে উঠেনি। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা উপজেলা প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বক্তব্যে কাউকে এ বিষয় বিভ্যান্ত না হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
তবে এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্বয়ং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম ফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৩৫০ জন মুক্তিযোদ্ধার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক পরিচয় মনে রাখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমি অনুষ্ঠানে বক্তব্য এবং বরণের বিষয়টি মুক্তিযাদ্ধার সাবেক কমান্ডার আবুল মুনসুরের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। তাকে এ বিষয়ে বারবার সতর্ক করা হয়েছিল যাতে বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি মঞ্চে উঠার সুযোগ না পায়। কিন্তু তিনি ফখরুদ্দিন নামের একজনকে মঞ্চে উঠানোর কারণে আমাকেও বিব্রত হতে হচ্ছে। এটি তিনি কেন করেছেন আমি তা খতিয়ে দেখছি।
সূর্যোদয় :- ৫:১০ | সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯ |
নাম | সময় |
ফজর | ৪:১৫ |
যোহর | ১২:১০ |
আছর | ৪:৫০ |
মাগরিব | ৬:৪৫ |
এশা | ৮:১৫ |