লইট্টা বা লোটে এক ধরনের সামুদ্রিক মাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Harpadon nehereus। এই মাছ সাধারণত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল যেমন— বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ চীন সাগর, দক্ষিণ ও ভারতীয় মহাসাগরে ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়। ভারত ও বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে এই মাছ বেশ প্রিয়।
এই মাছ খুবই সুস্বাদু। একে সাধারণত ভেজে বা রান্না করে খাওয়া যায়। এ ছাড়া এই মাছের শুঁটকি আমাদের দেশে ব্যপক জনপ্রিয়।
লইট্টা মাছকে ইংরেজিতে বলা হয় Bombay Duck, যা ব্রিটিশদের দেওয়া।
ব্রিটিশ আমলে ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে লইট্টা শুঁটকি মালগাড়ির মেইল ট্রেনে বম্ব্বে (মুম্বাই) আসত। ব্রিটিশরা এই লইট্টা শুঁটকির চালানকে বলত ‘মেইল’ বা ‘ডাক’। সেই থেকে ‘বম্বে ডাক’।
লইট্টা মাছের শরীর লম্বাটে, তবে সংকুচিত।
এদের মুখ খুব চওড়া ও দাঁত অসমান হয়। এদের ওপরের চোয়াল থেকে নিচের চোয়াল বড়। পাশাপাশি নিচের দাঁতও বড় থাকে। এদের পৃষ্ঠদেশীয় পাখনা, পায়ুর দিকের পাখনা ও বুকের দিকের পাখনায় বিভিন্ন রশ্মিরেখা থাকে। সাধারণত লইট্টা ২৫ সেন্টিমিটার দীর্ঘ হয়।
তবে সব থেকে বড় ৪০ সেন্টিমিটার হয়। এরা ছোট মাছ শিকার করে খায় বলে এদের শিকারি বা রাক্ষুসে মাছও বলা হয়ে থাকে।
লইট্টা প্রোটিনে ভরপুর একটি মাছ। এই প্রোটিন আমাদের শরীরের টিস্যু গঠনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে।
পাশাপাশি শরীরের হরমোন, এনজাইম এবং অন্যান্য কেমিক্যালের ভারসাম্য বজায় রাখে এই প্রোটিন। এই মাছে আছে উপকারী ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। এটি মানুষের শরীরের রক্তনালি পরিষ্কার রেখে হার্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। লইট্টা আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত রোগীর জন্যও খুবই উপকারী মাছ। এই মাছের তেল দারুণ এক ব্যথানাশক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। লইট্টা মাছ কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
লইট্টা শুঁটকিতে থাকা ক্যালসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমায়। এই মাছের শুঁটকিতে আছে প্রচুর আয়রন। এ ছাড়া রক্তস্বল্পতা দূর করতে এই মাছ দারুণ কার্যকর।
সূর্যোদয় :- ৫:১০ | সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯ |
নাম | সময় |
ফজর | ৪:১৫ |
যোহর | ১২:১০ |
আছর | ৪:৫০ |
মাগরিব | ৬:৪৫ |
এশা | ৮:১৫ |