বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে যাওয়ার পথে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছিল যুবদলের দুই নিবেদিতকর্মী। আজ সেই হত্যাকাণ্ডের ১৩ বছর পূর্ণ হলেও এখনো সুষ্ঠু বিচার পায়নি পরিবার।

১৩ তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাদে জুমা উপজেলার রঙ্গীখালী এলাকায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আবু হুরায়রা শামীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ শাহ জাহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. হাসান ছিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুস সালাম, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম ওসমান গনি, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি হোছাইন মোহাম্মদ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল সাদেক রিফাত, হ্নীলা ইউনিয়ন বিএনপির (দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক আবছার কামাল ছিদ্দিকী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মর্জিনা আক্তার ছিদ্দিকা, হ্নীলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি (উত্তর) আলী আহমদ মেম্বার, সাবেক সভাপতি আবছার কামাল ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা সহ প্রমুখ।

টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. হাসান সিদ্দিকী বলেন, ১৩ বছর পূর্ণ হলেও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুনের শিকার যুব দলের দুই কর্মী শহীদ শাহ জালাল ও ছৈয়দুল আমিন হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনো পাইনি। এভাবে আর কতো প্রাণ অকালে হারিয়ে গেলে আমরা সুষ্ঠু বিচারের মুখ দেখব?

তিনি আরও বলেন, টেকনাফে বিএনপির নির্যাতিত পরিবার হওয়ার পরেও এখনো ওই শহীদ পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলার শিকার হচ্ছেন। দ্রুত তদন্ত পূর্বক তাদেরকে হয়রানিমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

নিহত দুই সহোদরের ভাই শাহ আলম বলেন, কতোটা নির্মমভাবে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমার দুই ভাইকে হত্যা করেছিল- যা বর্ণনাতীত। ওই কঠিন মুহুর্তে পানি পানের সুযোগ পর্যন্ত দেয়নি তারা। একপর্যায়ে পানি না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আমার দুই ভাই। শুধু তাই নয়, শহীদ দুই ভাইয়ের জানাজার মাইকিং-য়ের গাড়ি আটকে দেওয়া, কবরস্থানে দাফনে বাঁধা দেওয়া হয়েছিল।
এরপর, রোজা পালন করা অবস্থায় তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ আমার আরও দুই ভাই নুরুল আলম ও সৈয়দ আলমকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। এখনো ৪ ভাই হত্যার বিচার পাইনি আমার পরিবার।