উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘাতক কামালকে আটকের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকারোক্তি মতে সাতকানিয়া হতে কিশোর মোহাম্মদ আকরামের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩ এপ্রিল নিজ বোনের ছেলে ভাগিনা আকরামকে অপহরণ করে ২ লাখ ১৩ মুক্তিপণ নেওয়ার পরও নির্মমভাবে হত্যা করেছেন মামা। ১৪ দিন পর মামা কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর গত বুধবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থেকে অপহৃত কিশোরের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, নিহত মোহাম্মদ আকরাম (১৩) উখিয়ার ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা এবং মোহাম্মদ ইদ্রিসের ছেলে। অভিযুক্ত মামা কামাল হোসেন একই ক্যাম্পের মৃত আবুল কাসেমের ছেলে এবং আকরামের মায়ের আপন ভাই।
ওসি আরো জানান, পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে, প্রথম দফায় পুলিশের একটি দল চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় গিয়ে ঘাতক কামালকে আটক করে উখিয়ায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। ২ দিন পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বুধবার সাতকানিয়ার রসুলাবাদ গ্রামের ইকবাল-হাসান কনভেনশন হলের পূর্ব পাশে খালের ধারে কচুরিপানার নিচ থেকে আকরামের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমের এক জোড়া প্লাস্টিকের স্যান্ডেলও জব্দ করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ৩ এপ্রিল ঈদ উপলক্ষে আকরামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে কামাল তাকে অপহরণ করে কক্সবাজার লিংক রোড হয়ে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানীরহাটে নিয়ে যায়। সেখানে ভিকটিমকে আটকে রেখে তার পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরিবার দুটি নগদ একাউন্টে পর্যায়ক্রমে মোট ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা পাঠায়।
তবে মুক্তিপণ পাওয়ার পরও আকরামকে হত্যা করে কামাল। কারণ, সে ভয়ে ছিল ভাগিনা বাড়ি ফিরে গেলে সব ফাঁস করে দেবে। জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য স্বীকার করে কামাল।
সূর্যোদয় :- ৫:১০ | সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯ |
নাম | সময় |
ফজর | ৪:১৫ |
যোহর | ১২:১০ |
আছর | ৪:৫০ |
মাগরিব | ৬:৪৫ |
এশা | ৮:১৫ |