টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের নাফ নদীর মোহনায় একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্মৃতি নুর আলিশা (৮) নামে এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। চালকসহ অন্য যাত্রীদের জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাফনদীর মোহনার গোলাচর পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ মেয়ে শিশুটি সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের পূর্ব পাড়ার মো. সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে।
দুর্ঘটনা কবলিত স্পিডবোটটির মালিক সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা মোহাম্মদ রশিদ বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সেন্টমার্টিনের জেলেরা জানায়, সকালে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ৮ জন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষ, ৩ জন শিশুসহ মোট ১১ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে নাফ নদীর মোহনার গোলারচর পয়েন্টে পৌঁছালে ঢেউয়ের ধাক্কায় স্পিডবোটটি উল্টে যায়। এতে স্পিডবোটে থাকা সকলেই পানিতে ভাসতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থানীয় জেলেদের নৌকা ও একটি স্পিডবোট ভাসমান অবস্থায় চালক সহ ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করলেও এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। তবে স্পিডবোট চালক মো. বেলাল (৩৫) শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে কৌশলে গাঁ ঢাকা দেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
নিখোঁজ আলিশার পিতা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ঢেউয়ের তোড়ে তাদের স্পিডবোটটি উল্টে যায়। এতে স্পিডবোটের সকল যাত্রী পানিতে ভাসতে থাকে৷ দীর্ঘ এক ঘন্টা পানিতে ভাসার পর স্থানীয় জেলেদের ট্রলার ও অন্য একটি স্পিডবোট তাদেরকে উদ্ধার করে। স্ত্রী ও দুই মেয়ে শিশুর মধ্যে আলিশা নিখোঁজ রয়েছে।
শাহপরীর দ্বীপ জেটি এলাকার লাইনম্যান আবদুল্লাহ বলেন, সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে একটি স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমার স্পিডবোট নিয়ে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় উদ্ধার যাত্রীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নিখোঁজ শিশুটি উদ্ধারে কোস্টগার্ডসহ স্থানীয় লোকজন উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে।
সূর্যোদয় :- ৫:১০ | সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯ |
নাম | সময় |
ফজর | ৪:১৫ |
যোহর | ১২:১০ |
আছর | ৪:৫০ |
মাগরিব | ৬:৪৫ |
এশা | ৮:১৫ |