ইউএসএআইডি’র ইকোফিশ-ওয়ার্ল্ডফিশের টেকনাফ টিম শামলাপুর ঘাটে ৩০ জন সিটিজেন সাইন্টিস্ট এবং সমুদ্রগামী নৌকার মাঝিদের জীবনের নিরাপত্তা (সেইফটি এট সি) বিষয়ক প্রশিক্ষণ শামলাপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রভিত্তিক কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত প্রশিক্ষণ সমুদ্রে মাঝিদের জীবনের নিরাপত্তা, উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ, দায়িত্বশীল মৎস্য আহরণ অনুশীলন এবং অবৈধ, অনিয়ন্ত্রিত ও অনুল্লিখিত মাছ ধরা এবং অতিরিক্ত মাছ আহরণের মতো নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির ওপর আলোচনা করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মাছ ধরা, জীবিকার উন্নতি এবং দায়িত্বশীল মাছ আহরণ অনুশীলন সংক্রান্ত বর্তমান সরকারি নিয়ম-কানুন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
এ সময় ড. মোহাম্মদ মোকাররম হোসেন, প্রকল্প প্রধান, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য সহ-ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে সকল সুবিধাভোগীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ এবং তাদের ক্ষমতায়ন জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি সরকারি ও বেসরকারি বিভাগ এবং সহ-ব্যবস্থাপনা সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।
ড. মোঃ শরীফ উদ্দিন, ফিশারিজ কো-ম্যানেজমেন্টের বিজ্ঞানী সাগরে নিরাপত্তার ওপর সার্বিক দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন এবং মাছ ধরতে যাওয়ার সময় লাইফ-জ্যাকেট সাথে রাখার এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
মো. দেলোয়ার হোসেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, টেকনাফ, মৎস্য অধিদপ্তর এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার আইন-কানুন সংক্রান্ত বিষয়গুলো তুলে ধরেন এবং ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সামুদ্রিক মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় সকলকে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরাধীন এসসিএমএফপি প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার মোঃ মাসুদ রানা ও শামলাপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রভিত্তিক মৎস্য সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ বেলাল উদ্দিন।
ইকোফিশ-২ প্রকল্পের গবেষণা সহযোগী শহীদ নাসরুল্লাহ আল মামুন এবং গবেষণা সহকারী মোঃ সোহেল রানা দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানের সমাপনীতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নৌকার মাঝিদের মাঝে লাইফ জ্যাকেট বিতরণ করা হয়।
সূর্যোদয় :- ৫:১০ | সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯ |
নাম | সময় |
ফজর | ৪:১৫ |
যোহর | ১২:১০ |
আছর | ৪:৫০ |
মাগরিব | ৬:৪৫ |
এশা | ৮:১৫ |