টেকনাফে ইয়াবা, এলজি ও গুলিসহ মো. নুর রশিদ (২৫) নামে এক ডাকাত সদস্যকে আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। আটক রশিদ উপজেলার হ্নীলা ইউপির ২৬নং লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের মৃত সলিমুল্লাহর ছেলে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত পৌনে ৯টায় টেকনাফ সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হয়।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন এর অধীনস্থ হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১১ হতে আনুমানিক ০১ কিঃ মিঃ উত্তর-পূর্ব দিকে আনোয়ার প্রজেক্ট নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান বাংলাদেশে আসার খবরে বিজিবি টহলদল ওই এলাকায় কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। ওই সময় তিনজন ব্যক্তিকে একটি কাঠের নৌকাযোগে সীমান্তের শূণ্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আনোয়ার প্রজেক্ট বরাবর নাফ নদীর তীরে কেওড়া বাগানের দিকে আসতে দেখে। ওই ব্যক্তিদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকায় থাকা দুই চোরাকারবারি নাফ নদীতে ঝাপ দিয়ে সাঁতরিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায় এবং অপর এক চোরাকারবারীকে টহলদল নৌকাসহ আটক করতে সক্ষম হয়। পরে নৌকাটি তল্লাশী করে ধৃত চোরাকারবারীর নিকট থেকে একটি ওয়ান শুটার গান (এলজি), এক রাউন্ড গুলি এবং নৌকার পাটাতনে রক্ষিত দুইটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভিতর থেকে ১ লক্ষ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে কাঠের নৌকাটিও জব্দ করা হয়।
বিজিবি অধিনায়ক ধৃত চোরাকারবারিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে বলেন, সে দীর্ঘদিন ধরে লেদা এফডিএমএন ক্যাম্পে অবস্থান করে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশে পাচারের সাথে জড়িত। এছাড়া সে এফডিএমএন ক্যাম্পে আবুল কালাম ডাকাত দলের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত।
আটককৃত আসামীকে জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও নৌকাসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সূর্যোদয় :- ৫:১০ | সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯ |
নাম | সময় |
ফজর | ৪:১৫ |
যোহর | ১২:১০ |
আছর | ৪:৫০ |
মাগরিব | ৬:৪৫ |
এশা | ৮:১৫ |