কক্সবাজারে অজানা এক বিষাক্ত ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। উখিয়া ও টেকনাফে এই ধরনের রোগী সর্বোচ্চ হারে বাড়ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও অজানা এই রোগ ছড়িয়েছে। ক্যাম্পের চিকিৎসা প্রার্থী ৮০ শতাংশ মানুষই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা দেবার পরও নির্ণয় করতে পারছেন না। এটা কোনো ধরনের ভাইরাস। সীমান্ত এলাকার ঘরে ঘরে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার কারণে আতঙ্কিত হচ্ছেন মানুষ। আর চিকিৎসকগণ রোগ নির্ণয় করতে না পেরে সঠিক চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
কক্সবাজারের সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহাজাহান নাজির বলেন, যে রোগ বাড়ছে এটি কোন নতুন ভাইরাস হতে পারে।
তার মতে, রোগীর শরীরে প্রচন্ড জ্বর, মারাত্মক গিরা ব্যথা, লাল রেশ, রক্তের প্লাটিলেট কাউন্ট ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মধ্যে নেমে আসছে। চিকনগুনিয়া টেস্ট করলে সেটাও নেগেটিভ আসছে।
তবে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর), আইসিডিডিআরবি কিংবা টেকনাফে কর্মরত জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনএইচসিআরের কোনো চিকিৎসকেরও বিষয়টি নজরে আসছে না।
টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর কোহিনুর আকতার জানান, তার পুরো পরিবার, বাচ্চা থেকে শুরু করে সবাই অসুস্থ। তিনি ফেসবুকে ‘ভয়াবহ এক বিষাক্ত ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে টেকনাফ’।
ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. শাহজাহান নাজির যখন ফেসবুকে এটি জানিয়ে দেন তখন চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাক্তারসহ অনেকেই অজ্ঞাত এই রোগ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন।
কক্সবাজারের জনপ্রিয় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ নুরুল আলম জানালেন, তিনি এই ধরণের সিম্পটমের রোগী পেয়েছেন।
কক্সবাজারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজারের মতো একই ধরনের রোগী আক্রান্ত হয়েছেন। এই রোগে আক্রান্ত হলে খুব বেশি কষ্ট পাচ্ছে মানুষ। এই ধরনের রোগী দেখা যায় বেশি অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে। এই রোগ মশাবাহিত নাকি কোনো নতুন ভ্যারিয়েন্ট জানে না চিকিৎসকগণ।
সূত্র: আমার দেশ
সূর্যোদয় :- ৫:১০ | সূর্যাস্ত :- ৬:৪৯ |
নাম | সময় |
ফজর | ৪:১৫ |
যোহর | ১২:১০ |
আছর | ৪:৫০ |
মাগরিব | ৬:৪৫ |
এশা | ৮:১৫ |